তীব্র গরমের দিন, সূর্য দগ্ধ করছে নির্মমভাবে এবং আপনার গাড়িটি সারাদিন কড়া রোদে দাঁড়িয়ে আছে। আপনি গাড়িতে ঢুকলেন আর… উহ্! ভ্যাপসা গরম আপনার দিকে তেড়ে এলো। সবার পরিচিত দৃশ্য, তাই না? আরামদায়ক ড্রাইভিংয়ের জন্য, বিশেষ করে গরমে, একটি এসি অপরিহার্য। কিন্তু গাড়ির এসি সার্ভিস আসলে কতবার করানো উচিত? 🤔
এসি সার্ভিস: কতবার করাবেন?
এটি এমন একটি প্রশ্ন যা অনেক গাড়ির মালিকের মনে আসে। উত্তরটা খুব সহজ নয়, কারণ এটি বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে।
- গাড়ির মডেল: কিছু মডেলের অন্যগুলোর চেয়ে ঘন ঘন এসি সার্ভিসের প্রয়োজন হয়। আপনার হ্যান্ডবুকটি দেখে নেওয়া ভালো, সেখানে প্রস্তুতকারকের পরামর্শ পাবেন।
- গাড়ি চালানোর ধরন: আপনি কি প্রধানত অল্প দূরত্বে চালান নাকি হাইওয়েতে দীর্ঘ পথ? এসি যত বেশি ব্যবহার করা হবে, তত দ্রুত কুল্যান্ট কমে যেতে পারে।
- গাড়ির বয়স: সাধারণত নতুন মডেলের চেয়ে পুরানো গাড়ির ঘন ঘন এসি সার্ভিসের প্রয়োজন হয়।
একটি সাধারণ নিয়ম বা থাম্ব রুল হলো: বছরে একবার অথবা প্রতি ১৫,০০০ কিলোমিটার পর এসি সার্ভিস করানো উচিত। এর মাধ্যমে আপনি নিশ্চিত করতে পারবেন যে আপনার গাড়ির এসি সর্বদা সঠিকভাবে কাজ করছে।
কেন নিয়মিত এসি সার্ভিস এত জরুরি?
হামবুর্গের গাড়ি মেকানিক বিশেষজ্ঞ হান্স মেয়ার বলেন, “অনেকেই নিয়মিত এসি সার্ভিসের গুরুত্ব বোঝেন না।” “অথচ, এসি সার্ভিসিং অবহেলা করলে বড় ধরনের ক্ষতি এবং ব্যয়বহুল মেরামতের সম্মুখীন হতে পারেন।”
এখানে কয়েকটি কারণ দেওয়া হলো কেন নিয়মিত এসি সার্ভিস এত গুরুত্বপূর্ণ:
- দুর্গন্ধ সৃষ্টি হওয়া এড়ানো: এসি সিস্টেমে ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাস জমে দুর্গন্ধ তৈরি হতে পারে।
- কার্যক্ষমতা কমে যাওয়া রোধ করা: কুল্যান্ট (ঠান্ডা করার গ্যাস) কম থাকলে এসির ঠান্ডা করার ক্ষমতা কমে যেতে পারে।
- ব্যয়বহুল ক্ষতি এড়ানো: এসি সিস্টেমে লিক থাকলে কম্প্রেসরের ক্ষতি হতে পারে, যা মেরামত করা খুব ব্যয়বহুল।