আপনি ১০০ কিমি/ঘন্টা গতিসীমার জায়গায় ১২০ কিমি/ঘন্টায় ক্যামেরায় ধরা পড়েছেন? এটা নিঃসন্দেহে হতাশাজনক, তবে ভয় পাবেন না! এই লেখায় আমরা আলোচনা করব এই পরিস্থিতিতে আপনার কী করা উচিত এবং এর সম্ভাব্য ফলাফল কী হতে পারে।
“Geblitzt” বা ক্যামেরায় ধরা পড়া মানে কী?
ক্যামেরায় ধরা পড়া বা ‘geblitzt’ হওয়া মানে হলো আপনি গতিসীমা অতিক্রম করার সময় একটি স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরা দ্বারা আপনার ছবি তোলা হয়েছে। এটি সাধারণত নির্দিষ্ট বিপজ্জনক স্থানে বসানো স্থায়ী ক্যামেরার মাধ্যমে ঘটে, তবে পুলিশের ভ্রাম্যমাণ ক্যামেরাও আপনাকে ধরতে পারে।
২০ কিমি/ঘন্টা অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালালে কী শাস্তি হতে পারে?
জার্মানিতে অনুমোদিত গতিসীমা ২০ কিমি/ঘন্টা অতিরিক্ত অতিক্রম করলে আপনাকে নিম্নলিখিত শাস্তির সম্মুখীন হতে হতে পারে:
- জরিমানা (Bußgeld): ৭০ ইউরো
- ফ্লেন্সবার্গে পয়েন্ট (Punkte in Flensburg): ১ পয়েন্ট
- গাড়ি চালানোর নিষেধাজ্ঞা (Fahrverbot): কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে, যেমন অন্য চালকদের বিপদে ফেলা হলে, এক থেকে তিন মাসের জন্য গাড়ি চালানোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে।
দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানোর জন্য প্রাপ্ত জরিমানার নোটিশ
ক্যামেরায় ধরা পড়ার পর কী হয়?
ঘটনার কয়েক সপ্তাহ পর আপনি একটি শুনানির ফর্ম (Anhörungsbogen) অথবা সরাসরি একটি জরিমানার আদেশপত্র (Bußgeldbescheid) পাবেন। এতে আপনার বিরুদ্ধে গতিসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা থাকবে। ক্যামেরার ছবিতে থাকা ব্যক্তির মাধ্যমে চালককে শনাক্ত করা যেতে পারে।
জরিমানার আদেশপত্রের (Bußgeldbescheid) বিরুদ্ধে আপিল করার কি কোনো উপায় আছে?
হ্যাঁ, কিছু ক্ষেত্রে বুসগেল্ডবেসcheid-এর বিরুদ্ধে আপত্তি (Einspruch) জানানো যুক্তিসঙ্গত হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, যখন:
- ক্যামেরাটি ত্রুটিপূর্ণ ছিল: ক্যামেরার নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ এবং ক্রমাঙ্কন (calibration) বাধ্যতামূলক।
- ক্যামেরার ছবিটি অস্পষ্ট: যদি ছবিতে চালককে স্পষ্টভাবে শনাক্ত করা না যায়, তাহলে অভিযোগ প্রমাণ করা কঠিন হতে পারে।
- গতির পরিমাপে সন্দেহ আছে: পরিমাপের ত্রুটি সম্ভব, বিশেষ করে প্রতিকূল আবহাওয়ায়।
তবে একটি সফল আপিলের জন্য একজন অভিজ্ঞ ট্র্যাফিক আইন আইনজীবীর (Verkehrsrechtsanwalt) সাহায্য নেওয়া বাঞ্ছনীয়।
ট্র্যাফিক আইন আইনজীবী ক্লায়েন্টকে পরামর্শ দিচ্ছেন
ভবিষ্যতে ফ্লেন্সবার্গে পয়েন্ট অর্জন করা কীভাবে এড়াবেন?
গতিসীমা লঙ্ঘন এড়ানো সম্ভব! গতিসীমার দিকে মনোযোগ দিন, বিশেষ করে শহর এলাকায় এবং খারাপ দৃশ্যমানতার পরিস্থিতিতে। আধুনিক গাড়িগুলোতে প্রায়শই বিল্ট-ইন অ্যাসিস্টেন্স সিস্টেম থাকে যা আপনাকে গতি মেনে চলতে সক্রিয়ভাবে সাহায্য করে।
স্পিডিং টিকিট পেয়েছেন? Autorepairaid.com আছে আপনার পাশে!
জরিমানা (Bußgeld), ফ্লেন্সবার্গে পয়েন্ট (Punkte in Flensburg) বা জরিমানার আদেশপত্রের (Bußgeldbescheid) বিরুদ্ধে আপিল করা নিয়ে আপনার কোনো প্রশ্ন বা সাহায্যের প্রয়োজন হলে? Autorepairaid.com-এর আমাদের বিশেষজ্ঞরা আপনাকে পরামর্শ ও সহায়তা দিতে প্রস্তুত!
এখনই আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন – আমরা আপনাকে সাহায্য করতে পেরে খুশি হব!